আদর্শ খাবারের মধ্যে ডিম অন্যতম। এর পুষ্টিগুণ যেমন শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো তেমনি ভালো চুলের জন্য। এমন একটা ধারণা প্রতিষ্ঠিত যে, এর কোলেস্টেরল হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সম্প্রতি ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে এক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, পরিমিত ডিম খেলে হৃদরোগের ওপর কোনো প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই।
এখানে জেনে নিন যে পাঁচ কারণে সুষম খাবারের মেন্যুতে ডিম রাখবেন:
১. গর্ভবতীদের জন্য ডিম অত্যন্ত উপকারী। কারণ এতে থাকে কোলিন যা ভিটামিন বি এর একটি ভ্যারাইটি। এটি শিশুর মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ও উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শিশুর মানসিক সমস্যার ঝুঁকিও কমিয়ে দেয়। অনিদ্রা সমস্যারও প্রতিষেধক।
২. উচ্চমাত্রার আমিষ হওয়ার কারণে ডিম অসময়ে অতিরিক্ত ক্ষুধার অনুভূতি দূর করে। ফলে সকালবেলার নাস্তায় ডিম খেলে ওজন কমানোর জন্য আর কষ্ট করে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে না।
৩. ডিম স্নায়ু উদ্দীপক ও কর্মচঞ্চল রাখে। ডিমের মধ্যে টাইরোসিন নামে এক অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে যা দ্রুত সংবেদনশীল করে তোলে। গবেষকরা দেখেছেন, গাড়ি চালানোর সময় যখন দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রয়োজন হয় তখন এই জৈব অ্যাসিডের ভূমিকা স্পষ্ট বুঝা যায়।
৪. ডিম ক্যানসার ঝুঁকিও কমায়। ডিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যানসার ও হৃদরোগ উভয়ের ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সিদ্ধ করার পর ডিমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অর্ধেকে নেমে যায়। এ পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একটি আপেলে পাওয়া যায়।
৫. রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে ডিম। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যেসব ওষুধ সেবন করা হয় ডিমের আমিষ ঠিক একই কাজ করে। আর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা মানে হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে নিরাপদ থাকা।
নাস্তায় যতো পারা যায় ডিম খান- ভেজে অথবা সিদ্ধ করে। হাতের কাছে বেশি সিদ্ধ ডিম রাখুন এবং স্ন্যাকস হিসেবে খেয়ে ফেলুন। দৌড়া দৌড়ির আগে ডিম খেয়ে নিন আপনার শক্তির প্রধান উৎস হবে এটি।
অথবা বেশি করে হলুদ দিয়ে ডিমের সাদা অংশ ভেজে দুপুরের খাবারের সাথে খেতে পারেন। আবার রাতের খাবারে ডিমের সাদা অংশ, পালংশাক, পিঁয়াজ কুচি এবং ব্রোকৌলি একসাথে মিশিয়ে উপাদেয় একটি রেসিপি তৈরি করতে পারেন।
No comments:
Post a Comment